আজ রবিবার, ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শান্ত না.গঞ্জে লাঠি হাতে ওরা কারা ?

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারায়ণগঞ্জ জেলা শহরটা বেশ কয়েক মাস ধরে শান্ত শহরে রুপ নিলেও এ শহরকে অশান্ত করার অপচেষ্ঠায় লাঠি হাতে কালো রংয়ের হাই এইছ গাড়ি দিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে হুমকি-ধামকি, লাঠিপেটাসহ সাধারন মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছেন অবলিলায়। শহরের প্রানকেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া এলাকার বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে নিরাপদস্থান মনে করে অনেকেই আসেন মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদসভাসহ সংবাদ সম্মেলন করতে।

তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ক্রনি গ্রæপের ‘অবন্তি কালার টেক্সটাইল লিমিটেড’ শ্রমিকরা আসেন তাদের অধিকার বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ছাটাই বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ সভা করতে। নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব এলাকায় আসলে তাদের উপর চড়া হয় একটি পক্ষ। শ্রমিকরা আসতে থাকলে তাদের পিছু নেয় সাদা ও কালো রংয়ের হাইছ দুটি গাড়ি নিয়ে কিছু লোক। দুটি গাড়ি থেকে লাঠি-শোটা হাতে নেমে আসেন বীরের মতো এরা কারা ? তাদের সাথে শ্রমিকদের কিসের বিরোধ থাকতে পারে? যদি বিরোধ না থাকে তাহলে তারা কার ইশারায় শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির অন্তরায় হয়ে তাদেরকে লাঠি হাতে পাকড়াও করলেন? যারা গাড়ি দিয়ে আসছিলেন, তাদেও উদ্দেশ্যে কী ছিলো। শান্ত শহরকে অশান্ত করার অপচেষ্ঠা না কি এ বিষয়ে প্রশাসন বিষয়টিকে আমলে নিবেন ? প্রেসক্লাবের সামনে এমন ঘটনা ঘটলে লাঠিয়াল বাহিনীরা যে কোন ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন একাদিক সচেতন ব্যক্তি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা শহরের আদমজী নগরিতে ইপিজেট ও ফতুল্লা এলাকায় বিসিক শিল্প নগরি গড়ে উঠায় এখানে রয়েছে দেশের সুনাম খ্যত গার্মেন্টস পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এছাড়াও জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে আরও বহু গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে আসা নারী-পুরুষরা কাজ করে থাকেন। অনেক সময় তারা তাদের বেতন-ভাতা দাবিতে ও বৃদ্ধিতেসহ অনেক সময় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে থাকেন। এসব কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার জন্য কে বা করা গাড়ি যোগে তাদেরকে লাঠিপেটাসহ তাদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যান বীরদর্পে। এ বিষয়ে স্থানীয়রা বলছেন, শহরের মধ্যে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ, থানা পুলিশ, র‌্যাব পুলিশের টহল থাকলেও তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে লাঠি-শোটা হাতে করা এরা ? শান্ত শহরকে অশান্ত করার অপচেষ্ঠায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। লাঠিয়াল বাহিনীর লোকজনদের আইনের আওতায় আনার দাবি ভোক্তভোগিদের। এবিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে এ লাঠিয়াল বাহিনী কোন তথ্য রয়েছে কি না তা নিয়ে জনমনে না না প্রশ্ন। এ বিষয়ে জনপ্রতিানধিরা ব্যবস্থা নেয়ার ব্যপারে প্রশাসনের লোকজনদের সহযোগিতা করারও কথা বলেন। লাঠি হাতে যাদের দেখা যাচ্ছে তারা কোন রাজনৈতিক দলের লোকজন না কি ভাড়াটিয়া কোন বাহিনীর সদস্য ? এমনটাই ভাবছেন স্থানীয়রা।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ